প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর নজর এখন হাতঘড়িতে। পিছিয়ে নেই ঘড়ি নির্মাতা হিসেবে পরিচিত জাপানের প্রতিষ্ঠান ক্যাসিও। হাতঘড়ির আকর্ষণীয় বাজারে গত তিন দশক ধরে আধিপত্য ধরে রাখা ক্যাসিও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন স্মার্টহাতঘড়ির চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত প্রতিষ্ঠানটি। নিউইয়র্ক টাইমসের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, চলতি বছর স্মার্ট হাতঘড়ির বাজার দাঁড়াবে এক হাজার কোটি ডলারে। অ্যাপল, গুগল, স্যামসাং ছাড়াও স্মার্ট হাতঘড়ি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে পেবল, নাইকি, এলজিসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। বাজার গবেষকেরা স্মার্ট হাতঘড়ির বাজারকে সম্ভাবনাময় বলেই জানিয়েছেন। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট আর
টিভির পাশাপাশি পরিধেয় প্রযুক্তিপণ্য হিসেবে স্মার্ট হাতঘড়ির বাজার বাড়বে বলেও বাজার গবেষকেরা পূর্বাভাস দিয়েছেন। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, স্মার্টফোনের মতোই সব ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে বাজারে আসছে স্মার্ট হাতঘড়ি। এ সম্ভাবনাময় বাজারে ক্যাসিওর কথা এতোদিন অগোচরেই ছিল।
সম্প্রতি ক্যাসিওর ৮৪ বছর বয়সী প্রধান নির্বাহী কাজো ক্যাসেও জানিয়েছেন, ‘হঠাত্ করেই সবার নজর এখন মানুষের কবজির দিকে পড়েছে। এ ক্ষেত্রটিতে ক্যাসিও দীর্ঘদিন ধরেই শীর্ষস্থানে রয়েছে। তবে সবার সঙ্গে আবার নতুন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্যাসিও প্রস্তুত।’
ডিজিটাল পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বার্ষিক ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি লাভ করছে ক্যাসিও যার সিংহভাগ আসে হাতঘড়ি থেকে। এ ছাড়াও ক্যাসিওর কম্প্যাক্ট ক্যামেরা, সঙ্গীতের যন্ত্রাংশ ও ক্যালকুলেটর।
ক্যাসেও মনে করেন, ক্যাসিও সময়ের চেয়ে সবসময় এগিয়ে থেকেছে। ক্যাসিও বর্তমানে ওয়েদারপ্রুফ ঘড়ি তৈরিতে মনোযোগ দিয়েছে। গত বছর ব্লুটুথের মাধ্যমে হাতঘড়িতে মুঠোফোনের মতো কল আদানপ্রদানের সুবিধা চালু করেছে ক্যাসিও। নতুন বেশ কিছু প্রযুক্তি সুবিধার হাতঘড়ি তৈরি করছে ক্যাসিও।
No comments:
Post a Comment