১৯৯৬ সাল বাংলাদেশ
প্রথম ভিস্যাটের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হয়। তখন প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের
জন্য ব্যয় হতো ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। কিন্তু সে সময় সরকারি ভাবে বিটিসিএল কোনো ব্যান্ডউইথড
বিক্রি করত না। মোবাইল ফোনে ব্যবহার ভিত্তিক ইন্টারনেট সংযোগের ফি কমানোর বিষয়ে গ্রাহকের
মতামত নেয়া হয়েছে তা সাত মাস হলো। তবে সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
ফলে গুণতে হচ্ছে সেই পুরনো হারে, প্রতি কিলোবাইট দুই পয়সা। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)
তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে তিন কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছেন, যাদের শতকরা ৯০
ভাগই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। দেশের মোবাইল অপারেটর সেবাদাতাদের
অনেকেই মনে করেন, এ ব্যয় কমে আসতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। বাজারে বহুমুখী প্রতিযোগিতায়
এখনও ইন্টারনেট সেবাদাতারা প্রত্যাশিত মুনাফা থেকে অনেক দূরে। আর সে কারণেই ইন্টারনেট
ব্যয় কমিয়ে আনতে সরকারকেই আরও অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। প্রয়োজনের খাতে ভর্তূকি দেওয়ার
কথাও চিন্তা করতে হবে। দেশে ইন্টারনেটের সেবাব্যয় কমিয়ে আনলে কি ধরনের ব্যবসার সুযোগ
তৈরি হবে এমন প্রশ্নে বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শামীম আহসান নতুনখবরকে বলেন, দেশের
৫০ হাজার মানুষ এখন আউটসোর্সিং নির্ভরশীল। এ খাতে বাংলাদেশের বার্ষিক আয় এখন ৩ কোটি
ডলার। সুতরাং, ইন্টারনেটের ব্যয় কমিয়ে আনলে এ খাতের উদ্যোক্তারা প্রণোদনা পেত। আর ২০০৪
সাল থেকে ইন্টারনেটে প্রতি কিলোবাইট তথ্য আদান-প্রদানের জন্য তাদের গুণতে হচ্ছে একই
হারে। যদিও এই নয় বছরে ইন্টারনেট ব্যান্ড উইথের মূল্য কমেছে কয়েক গুণ। ২০০৪ সালে প্রতি
মেগাবাইট ব্যান্ড উইথের মূল্য ছিল ৭২ হাজার টাকা, বর্তমানে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬ হাজার
টাকায়। ইন্টারনেট সেবায় বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন ওয়াইম্যাক্স গ্রাহকেরা।
সুষ্ঠু নেটওয়ার্ক বিন্যাস ছাড়াই গ্রাহক বৃদ্ধির কারণে এ সমস্যা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা
অভিমত দিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment