দিনমজুর খেকে শুরু করে আমাদের দেশে মোবাইল এখন সবার হাতে হাতে। গ্রামগঞ্জ, শহর বলে কোন কথা নেই। ব্যবহারিক দিক থেকে মোবাইলের অপরিহার্যতার বিষয়টি সবার কাছে স্পষ্ট। কিন্তু অতি প্রয়োজনীয় এ ডিভাইসটি কিভাবে ব্যবহার করতে হবে, সে সম্পর্কে জনসচেতনতার এখনও অভাব রয়েছে। মোবাইল ফোন থেকে ক্ষতিকর যে রশ্মি বের হয়, তা মানুষের শরীরের ওপর বেশ নেতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকে। সে কারণে বিশেষজ্ঞরা মোবাইল ফোন ব্যবহারে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন:
মোবাইল হ্যান্ডসেট শরীর থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখা যায় ততটাই শ্রেয়।
ফোনে কথা বলার সময় সবচেয়ে বেশি রশ্মি বিকিরণ হয়। তাই কান থেকে খানিকটা দূরে রাখা উচিত। মোবাইলে কথা বলার জন্য তার বা ব্লুটুথসহ হেডসেট ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ। মাথা থেকে মোবাইল সেট দূরে রাখাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। মাথায় মোবাইল হেডসেট চেপে ধরবেন না। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মোবাইলে কখনও দীর্ঘক্ষণ কথা বলা উচিত নয়। যেসব ক্ষেত্রে টেক্সট মেসেজ লিখেই কাজ সারা যায়, সেখানে কল না করাই উত্তম। মোবাইল দূরে রেখে স্পিকার অন করেও কথা বলাটা বেশ নিরাপদ। তাই যখনই সম্ভব তখন স্পিকারে কথা বলুন। যেখানে মোবাইলের ফ্রিকোয়েন্সি দুর্বল, সেখানে শুধু দরকার ছাড়া কথা বলা উচিত নয়। ধাতু ও পানি রেডিও তরঙ্গ পরিবহনের অন্যতম মাধ্যম। তাই ধাতব ফ্রেমের কোন চশমা, সানগ্লাস পরলে বা চুল ভেজা থাকলে মোবাইলে কথা বলবেন না। কানে হেডসেট প্রবেশ করানোর আগে কল করুন বা রিসিভ করুন। কারণ, কল কানেক্ট হওয়ার সময় বহু রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির আদান-প্রদান হয়। যদি সুযোগ থাকে তবে অবশ্যই ল্যান্ডফোন ব্যবহার করুন। মোবাইল ফোন নয়। আপনার মোবাইল হ্যান্ডসেটটি যদি চালু থাকে, তবে তা বুক বা প্যান্টের পকেটে রাখবেন না। মোবাইল ফোন শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। যাদের দেহে মেডিক্যাল ইমপ্ল্যান্ট করা হয়েছে, তাদের শরীর থেকে ১৫ সেমি দূরে মোবাইল ফোন রাখা শ্রেয়।
No comments:
Post a Comment