যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘আমেরিকান ইংলিশ’ মোবাইল অ্যাপলিকেশন তৈরিতে কাজ শুরু করছে বিনু এবং ওয়ার্ল্ডরিডার নামে দুটি প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের সব মানুষের কাছে ইংরেজি ভাষা ছড়িয়ে দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংবাদের মাধ্যমে এই তথ্য দিয়েছে।
এ প্রযুক্তির মাধ্যমে অ্যানড্রইড
প্রতিটি স্মার্টফোনেই এ অ্যাপ সহজেই ব্যবহারযোগ্য হবে বলে আমরা আশা করছি। এ অ্যাপের
কনটেন্ট উন্নয়নে ইংলিশ এডুকেশন অ্যালায়েন্স (ই২এ) সদস্য বিনু এবং ওয়ার্ল্ডরিডার কাজ
করেছে। বিশ্বের যে কোনো দেশেই অবস্থান করে মাঝারি মানের স্মার্টফোনেই এ অ্যাপ ব্যবহার
করা যাবে। এর ফলে ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়ানোর সঙ্গে ইংরেজি শিক্ষার প্রসারও ঘটানো সম্ভব।
এ প্রযুক্তির উন্নয়নে বিশ্বের কয়েকটি কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ভাবে ইংরেজি শিক্ষার সুফল
উপভোগ করতে পারবেন। সহজেই শিক্ষামাধ্যমের বিভিন্ন কৌশল নিয়েই এ শিক্ষাভিত্তিক প্রযুক্তির
উন্নয়ন করা হয়েছে।
এ কনটেন্টের আওতায় ই-বুক, অডিওবুক,
মিউজিক এবং কুইজ সবই থাকবে। অর্থাৎ শিক্ষামাধ্যমের
সবগুলো কৌশলই এ অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। এ ছাড়াও সারা দুনিয়ার খবর এবং সামাজিক গণমাধ্যম
তথ্যও এ অ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ থাকবে। এতে ইংরেজি বিষয়ে পেশাগত দক্ষতা
এবং শিক্ষাবিষয়ক চর্চার পথ অনেক সুগম হয়ে যাবে। এ অ্যাপ ডাউনলোডে মোটেও ব্যয়বহুল নয়।
ফলে শিক্ষামাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্টের অবাধ প্রচারের পথ নিশ্চিত হবে। অর্থাৎ মোবাইল
ফোনের মাধ্যমে শিক্ষাকক্ষ ছাড়াই শিক্ষাগ্রহণ করার নতুন কৌশল আয়ত্ত্বে আনা যাবে। এতে
ইংরেজি বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানো যাবে অনেক।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে
‘বিনু’ বিনামূল্যে মোবাইল অ্যাপলিকেশন প্ল্যাটফর্ম, ইন্টারনেট অ্যাকসেস, গতি, সার্বিক
ব্যবহার এবং সামাজিক সংযোগ নিশ্চিতে কাজ করছে। আর এসবই হবে কমদামি মোবাইল ফোনে। অ্যাপ
বিশ্বের ৮০ ভাগ মোবাইল ব্যবহারকারীর হিসাবে ৫০০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে।
এদিকে ওয়ার্ল্ডরিডার একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৫ সালের মধ্যে ডিজিটাল শিক্ষা
উপকরণ সবার মধ্যে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়াও ই-রিডার এবং মোবাইল অ্যাপের
মাধ্যমে ইংরেজি শিক্ষাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে এ উদ্যোক্তারা কাজ করছে।
No comments:
Post a Comment