কর্মীদের কাছে জনপ্রিয় আর যোগ্য নেতৃত্বের বিচারে বিশ্বের সেরা সিইও নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক জুকারবার্গ। এ মুহূর্তে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বেশি পরিচিত জুকারবার্গ। কর্মপরিবেশ এবং ক্যারিয়ারভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্ল্যাসডোর এ তথ্য দিয়েছে।
নিজের অফিসের কর্মীদের ৯৯ ভাগ জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে জুকারবার্গ এ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। অনলাইনভিত্তিক সামাজিক একটি প্রতিষ্ঠানকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সফলতার চূড়ান্তে নিয়ে গেছেন অপেক্ষাকৃত তরুণ এ প্রধান নির্বাহী (সিইও)। এ জরিপে ফেসবুকের একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পাঁচ তারকার মধ্যে সবগুলো দিয়েই জুকারবার্গকে মূল্যায়ন করেছেন। সবগুলো তারকা দেওয়ার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, দ্রুত এগোতে হবে। আর তা হতে হবে নির্ভয়ে। এ দুটি কারণেই জুকারবার্গ প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও হলেও কর্মীদের মধ্যে সব সময়ই প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেন।
অবশ্য জুকারবার্গের বিপক্ষের বেশ কিছু অভিযোগ আছে। এর মধ্যে কর্মপরিবেশকে অতিমাত্রায় কঠিন এবং বাড়তি দায়িত্বের চাপ দেওয়া অন্যতম। কিন্তু নেতৃত্বের সুকৌশলে একে ভিত্তিহীন এবং অমূলক প্রমাণ করেই শীর্ষ সিইও নির্বাচিত হয়েছেন এ তরুণ উদ্যোক্তা।
এ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পুরো এক বছরের সব ধরনের কর্মকান্ডকে বিবেচনায় নিয়ে কর্মীদের গোপন জরিপ নেওয়া হয়। স্যাপ সহ-প্রধান বিল ম্যাকডারমট এবং জিম হেগম্যান শীর্ষ সিইওর তালিকায় জুকারবার্গেই পরেই অবস্থান করছেন এ দুজন।
প্রসঙ্গত, তবে আরেক শীর্ষ প্রতিষ্ঠান গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান ল্যারি পেজ ৯৫ ভাগ জনপ্রিয়তা নিয়ে ১১তম অবস্থান পেয়েছে।
এদিকে অ্যামজন ডটকমের প্রধান জেফ বেজোস এবং অ্যাপলের টিম কুক যথাক্রমে ১৬ এবং ১৮তম অবস্থান অর্জন করেছেন। এদের দুজনই ৯৩ ভাগ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, জীবিত অবস্থায় অ্যাপলের স্টিভ জবসই বিশ্বসেরা সিইও নির্বাচিত হন। অত্যন্ত হালকা মেজাজ এবং সাদামাটা পোশাকে বিশ্বকাঁপানো পণ্য উপস্থাপনার জাদুকর বলা হয় স্টিভকে।
শুধু নিজ কর্মপরিবেশ নয়, সরল বক্তব্য প্রকাশে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হন স্টিভ। তার হঠাৎ প্রয়াণে পুরো বিশ্বের শোকের ছায়া এ কথারই নিরব সাক্ষী। একজন সিইও কতটা জনপ্রিয় হতে পারে তা স্টিভই প্রমাণ করে গেছেন।
বিশ্বে এখন সব ধরনের অনলাইন গণমাধ্যমের ব্যাপক জয়জয়কার। তাই নেতৃত্বগুণ আর কর্মীদের মধ্যে সর্বদা উৎসাহ-উদ্দীপনা দিয়ে সঠিক সময়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে সিইও পদের প্রধান দায়িত্ব।
বিশ্বের অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে আর্থিকভাবে সফল করা অনেকাংশেই সিইও পদের ওপর নির্ভর করে। এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
No comments:
Post a Comment