৫০ বছর আগের ছবিতে দেখা গিয়েছিল যেই অ্যাস্টন মার্টিন গাড়ি, সেটি ধ্বংস করে ফেলতে হবে ০০৭ জেমস বন্ড সিরিজের স্কাইফল ছবিতে। কিছুদিন আগে হলেও হয়তো বুকে পাথর চেপে রাজি হয়ে যেতে হতো প্রযোজকদের। কিন্তু এখন আর তার প্রয়োজন নেই। এসে গেছে ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) প্রিন্টার।
এই ছবির জন্য ভক্সেলজেট নামের একটি জার্মান প্রতিষ্ঠান থেকে আনা হয় বিশাল এক প্রিন্টার। তার সাহায্যেই বানানো হয় একই গাড়ির তিনটি মডেল। আর তার একটি জ্বালিয়ে ফেলা হয় ছবির এক দৃশ্যে।
একবিংশ শতকের সেরা উদ্ভাবনগুলোর একটি মনে করা হচ্ছে এই প্রযুক্তিকে। ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার দারুণ হাতিয়ার এটি।
একের পর এক স্তর তৈরি করে একটি বস্তু নির্মাণ করা হয় এই প্রযুক্তিতে। যে বস্তুটি প্রিন্ট করা হবে তার প্রস্থচ্ছেদ করে এই স্তরগুলো তৈরি করে তা জুড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় থ্রিডি প্রিন্টারে। চিকিৎসাক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির প্রচুর ব্যবহার হচ্ছে। কৃত্রিম অঙ্গ ও হাড় তৈরিতে এটি ব্যবহূত হচ্ছে। মানব অঙ্গ তৈরিরও চেষ্টা করা হচ্ছে এর মাধ্যমে। যদি এতে সাফল্য আসে, তাহলে চিকিৎসাবিজ্ঞানের জগৎটা একদমই পাল্টে যাবে। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করার আর প্রয়োজনই হবে না।
No comments:
Post a Comment