অপারেটিং সিস্টেমের বাজার দখলের হিসাবে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ভিস্তাকে পেছনে ফেলেছে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সাম্প্রতিক সংস্করণ উইন্ডোজ ৮।
ওয়েব বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান নেট অ্যাপ্লিকেশন্সের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমের বাজারে উইন্ডোজের দখলে রয়েছে ৯১ দশমিক ৮৯ শতাংশ, অ্যাপলের ম্যাক ওএসএক্সের দখলে রয়েছে ছয় দশমিক ৯৪ শতাংশ আর লিনাক্সের দখলে রয়েছে এক দশমিক ১৭ শতাংশ।
ওয়েব বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে জনপ্রিয় সংস্করণটি হচ্ছে উইন্ডোজ ৭। বর্তমানে উইন্ডোজ ৭ এর দখলে রয়েছে বাজারের ৪৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ। উইন্ডোজ ৭ এর পর জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে এক্সপি। বাজারে ৩৭ দশমিক ১৭ শতাংশ এক্সপির দখলে। উইন্ডোজ ভিস্তার দখলে রয়েছে চার দশমিক ৬২ শতাংশ আর উইন্ডোজ ৮ দখল করেছে পাঁচ দশমিক এক শতাংশ।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে মাইক্রোসফটের বাজারে আনা উইন্ডোজ ভিসতা খুব বেশি জনপ্রিয়তা পায়নি। ভিসতার মতো উইন্ডোজ ৮ এর ক্ষেত্রেও মাইক্রোসফটকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। উইন্ডোজ ৮ ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্ত করছে এবং একারণেই সংস্করণটি জনপ্রিয়তা পায়নি বলেই গবেষকেরা মনে করেন। উইন্ডোজ ৮ এর বিভ্রান্তি দূর করতে এ অপারেটিং সিস্টেমে বেশ কিছু পরিবর্তন এনে উইন্ডোজ ৮ এর আপডেট উইন্ডোজ ৮.১ বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট।
উইন্ডোজের সাম্প্রতিক সংস্করণগুলো জনপ্রিয় করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে মাইক্রোসফট। তার মধ্যে রয়েছে এক্সপিকে বিদায় দেওয়া। ২০১৪ সালে উইন্ডোজ এক্সপির জন্য আর কোনো আপডেট বা নিরাপত্তা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। মাইক্রোসফট অফিস ২০০৩-এর অফিসিয়াল সাপোর্টও শেষ হবে একই সময়ে
২০১২ সালেই ডেস্কটপ কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যায় মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ৭। ২০১২ সালের আগস্ট মাসে ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমের বাজারে উইন্ডোজ ৭ দখল করেছিল ৪২.৭৬ শতাংশ আর এক্সপির দখলে ছিল ৪২.৫২ শতাংশ। ২০০৯ সালে উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেম উন্মুক্ত করেছিল মাইক্রোসফট। ২০০১ সালে উন্মুক্ত করা উইন্ডোজ এক্সপিকে জনপ্রিয়তায় পেছনে ফেলতে তিন বছর লেগেছিল উইন্ডোজ ৭-এর।
২০১২ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের নতুন সংস্করণ ‘উইন্ডোজ ৮’ বিক্রি শুরু করছে মাইক্রোসফট। মাইক্রোসফটের তথ্য অনুযায়ী, উইন্ডোজ ৮ ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment